ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়? ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় সে বিষয়ে আপনাদের জানাবো। ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেকের কাছে পরিচিত একটি ক্যাপসুল। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে থাকেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম

কিন্ত, অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম জানেন না। একারণে, অনেকে অতিরিক্ত (Overdose) ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে নিজের ক্ষতি করেন। তাই, আমাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২০০ বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা উচিত।


আজকে যা জানাবো

  • ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ধরন
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ধরন

বাংলাদেশ ও ভারতের বাজারে ২ ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তাই অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের কালার দেখে কনফিউশনে পরেন। মুলত ২০০ মিগ্রা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের কালার সবুজ এবং ৪০০ মিগ্রা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের কালার হলুদ। এছাড়া এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।

আরও পড়ুন

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়


চলুন দেখে নেই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়। বিভিন্ন গবেষনা অনুযায়ী, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা গুলো হলোঃ

১। দেহের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে, আমাদের দেহের কোষগুলো ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা পায়। গবেষণায় দেখা যায়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল দেহের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে। এতে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং তারুণ্য ধরে রাখার উপায় হিসেবে কাজ করে।


২। চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল

আপনারা যারা জানতে চান, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়? তাদের জানা উচিত, চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী। গবেষনায় উঠে আসে, ভিটামিন ই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন সরবরাহ করে। এতে আমাদের চুল ঘন ও লম্বা হয়। তাই অনেক চিকিৎসক চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল শুধু খাওয়াই হয় না। চুল পড়া বন্ধ করা ও নতুন চুল গজাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের উপরিভাগেও ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায়, চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা অনেক।


৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা ভিটামিন ই ক্যাপসুল

আমরা আগেই জানিয়েছি, ভিটামিন ই ক্যাপসুল দেহের কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত করে। এতে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকে থাকা বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রন, বলিরেখা, রোদে পোড়া কালো দাগ, চোখের নিচের কালো দাগ ও বয়সের ছাপ (Ageing Problem) দূর হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া ছাড়াও সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়মুখ ফর্সা করার উপায় হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। তবে, এজন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে।

৪। শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি দূর করে

আমাদের শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি থাকলে নানা রকম সমস্যা হয়। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না, সমস্যাটি ভিটামিন ই এর অভাবে হচ্ছে। চিকিৎসকরা অনেক সময়, কোন একটি সমস্যার কারনে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

মুলত শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তাই, আপনারা যারা জানতে চান, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, তাদের জানা উচিত শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া হয়।


৫। চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে বিভিন্ন গবেষনায় দেখা যায়, চোখের জন্য ভিটামিন ই খুবই উপকারী। তাই চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে চিকিৎসকরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানো সহ চোখ ভালো রাখার উপায় হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া হয়।

৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল


ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, এই প্রশ্নটির অরেকটি উত্তর হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন ই এর অভাবজনীত নানা রোগ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া হয়।


৭। হার্ট সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

বিভিন্ন গবেষনায় দেখা যায়, হার্টের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী। এমনকি কার্ডিয়াক এ্যটাক বা কার্ডিয়াক ডিসিজের আধুনিক চিকিৎসায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। তাই ডাক্তাররা, হার্টের চিকিৎসায় ও হার্টের সুস্থতায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


৮। পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, এ সম্পর্কিত অরেকটি উত্তর হলো, মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া হয়। বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যাথাসহ পিরিয়ডের নানা সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই অনেক কার্যকর।


আরও পড়ুন

৯। সেক্স হরমোন বাড়াতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার আরেকটি উপকারিতা হলো, ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেক্স হরমোন বৃদ্ধি করে। তাই চিকিৎসকরা, পুরুষের ও নারীদের সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর উপায় হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে, সন্তান জন্ম দানে অক্ষমতার (বন্ধ্যাত্ব) চিকিৎসায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।


১০। বাতের ব্যথা কমাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

vitamin e capsule খেলে কি হয়, এ বিষয়ে গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী আরেকটি ফলাফল হলো, বাতের ব্যথা কমাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক কার্যকরী। তাই, চিকিৎসকরা বাতের ব্যথার চিকিৎসায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

উপরের উল্লেখিত ১০ টি বিষয় ছাড়াও বিভিন্ন গবেষনায়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, এ সম্পর্কিত অনেকগুলো উপকারিতা পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানো ও ক্যান্সারের চিকিৎসায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার।

এছাড়াও লিভার ডিসিজ, প্রিএকলামশিয়া সহ নানা রোগের চিকিৎসায় ভিটামিন ই ব্যবহার করা হয়।


ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম

এতক্ষণ আমরা আপনাদের জানালাম ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, এখন বলছি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম। আমরা আগেই জানিয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুই ধরনের। তাই আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২০০ ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম আলাদা ভাবে জানাচ্ছি। এছাড়া, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়, তাও জানাচ্ছি ।

প্রথমেই বলে রাখি ভিটামিন ক্যাপসুল এর ডোজ একেক রোগের জন্য একেক রকম। তাই, আপনারা অবশ্যই যে রোগের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে চান, সে বিষয়ে একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবেন।

এছাড়া, আপনার এমন কোন জটিলতা থাকতে পারে যে, আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারবেন না। এ বিষয় টি আপনার বুঝতে হলে আপনার একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল সহ কোন ঔষধ খাওয়া উচিত নয়।

সাধারণত, আপনার কোন জটিলতা না থাকলে, প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২০০ মিগ্রা প্রতিদিন দুইটি করে খেতে হয়। অনেকেই জানতে চান ২০০ মিগ্রা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়। ২০০ মিগ্রা ভিটামিন ই ক্যাপসুল সকালে ও রাতে একটি করে খেতে হয়।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন ১ টি করে। চলুন দেখে নেই ৪০০ মিগ্রা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়? ৪০০ ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রতিদিন রাতে ১ টি করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

তবে, একটানা কতদিন আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারবেন, তা আপনার চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। সাধারণত, একটানা তিন মাসের বেশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া উচিত নয়। তবে কিছু দিন বিরতি দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে আবার খাওয়া যায়।


আরও পড়ুন

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

vitamin e capsule খেলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো সাধরনত অতিরিক্ত (Overdose) ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার কারনে হয়।

তবে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার প্রথম দিকেও এগুলো হতে পারে। এগুলো সবার ক্ষেত্রে হবে এমনটি নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এগুলো হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। যদি আপনার ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে সাথে সাথে আপনার ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

১। বমি বমি ভাব

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে, বমি বমি ভাব হতে পারে। এটা অতিরিক্ত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে, আবার প্রথম প্রথম ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলেও হতে পারে।


২। ডায়রিয়া

আপনারা যারা জানতে চান, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়, তাদের জানা উচিত, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।


৩। ক্লান্তি ও অবসাদ

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা হিসেবে রয়েছে ক্লান্তি ও অবসাদ লাগা। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার ক্লান্তি ও অবসাদ লাগতে পারে।


৪। মাথাব্যথা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রয়েছে মাথাব্যথা হওয়া। প্রথম প্রথম খেলে বা অতিরিক্ত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার মাথাব্যথা হতে পারে।


৫। ত্বকে ফুসকুড়ি

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হতে পারে, সে বিষয়ে গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী আরেকটি ফলাফল হলো ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়া। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।


৬। চোখে ঝাপসা দেখা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রয়েছে চোখে ঝাপসা দেখা। অতিরিক্ত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

আজকে আমরা আপনাদের জানালাম, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম। এছাড়া, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয় সে বিষয়ে জানিয়েছে।

আমাদের পরামর্শ হলো, আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে চাইলে একজন ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবেন। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ই ২০০ মিগ্রা বা ৪০০ মিগ্রা খাওয়ার নিয়ম মেনে খাবেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url