ডায়াবেটিস কমানোর ১৮ টি কার্যকর ঘরোয়া উপায় - ২০২২
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এবং ডায়াবেটিসের মূল বিষয়গুলি বোঝা ডায়াবেটিস কমানোর প্রথম পদক্ষেপ। বিশ্বে এখন বহু মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দিন দিন এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
এই ভয়াবহ খারপ আবস্থার জন্য দায়ী ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এবং ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায় না জানা এবং ব্লাড সুগার কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া। অন্যদিকে খুব কম সংখ্যক ডায়াবেটিস রোগী এবং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ শুধুমাত্র সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে, সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করছেন।
আজকে যা জানাবো
- ডায়াবেটিস আসলে কি?
- ডায়াবেটিসের ধরন বা টাইপ
- ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ
- ডায়াবেটিস কমানোর ১৮ টি উপায়
ডায়াবেটিস আসলে কি?
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানার আগে ডায়াবেটিস আসলে কি জানা দরকার। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় রোগ যা রক্তে শর্করার সৃষ্টি করে। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তখন এটি ডায়াবেটিস হিসেবে গন্য করা হয়।আমদের রক্তে শর্করার মাত্রা ইনসুলিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন আমাদের রক্ত প্রবাহ থেকে গ্লুকোজ বের করে দিয়ে আমদের কোষে প্রবেশ করায়। যেখানে এটি ভেঙে আমাদের শক্তিতে পরিণত হয়।
যদি আমাদের ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে হয় আমদের পর্যাপ্ত ইনসুলিন নেই অথবা আমদের যে ইনসুলিন আছে তা আমাদের রক্ত প্রবাহ থেকে গ্লুকোজ বের করে দিয়ে আমদের কোষে প্রবেশ করতে কাজ করে না। যার ফলে আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়াবেটিসের ধরন বা টাইপ
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানার আগে আমাদের ডায়াবেটিসের ডায়াবেটিসের ধরন বা টাইপ সম্পর্কে জানা উচিত।
দুটি প্রধান ধরন সহ ৩ ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে। যথা-
টাইপ ১ ডায়াবেটিস- যেখানে আমাদের অগ্ন্যাশয় মোটেও ইনসুলিন তৈরি করে না।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস- যেখানে আমাদের অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না, বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না।
টাইপ ৩ ডায়াবেটিস- এটি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নামে পরিচিত যা একটি অস্থায়ী অবস্থা, যখন গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না।
ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ
ডায়াবেটিস প্রথম দিকে সনাক্তকরণ এবং সময়মত রোগ নির্ণয় করতে পারলে সম্ভাব্য মারাত্মক রোগে পরিণত হওয়া ঠেকানো যায় এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুলো সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায়। সেজন্য ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের শুরু সাধারণত দ্রুত ঘটে এবং লক্ষণগুলি তীব্র হতে পারে।অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি সাধারণত হালকা বা একেবারে নেই। পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে উপস্থিত বাড়তে পারে। এই ২ ধরণের ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
- তৃষ্ণা বৃদ্ধি
- ওজন কমে যাওয়া
- ক্লান্তি বৃদ্ধি
- ক্ষুধা বৃদ্ধি
- খিটখিটে ভাব
- চোখে ঝাপসা দেখা
- ঘা এবং ক্ষত ধীরে ভালো হওয়া
ডায়াবেটিস কমানোর ১৮ টি কার্যকর উপায়
এখন পর্যন্ত মানুষ বিশ্বাস করে আসছে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হল আমাদের খাদ্য থেকে কেবল চিনি এবং মিষ্টি বাদ দেওয়া। যদিও এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সত্য। তবে রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য ডায়াবেটিস মুক্ত খাবার খাওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে ১৮ টি ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা অনুসরণ করার মাধ্যমে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
১। জীবনযাত্রা পরিবর্তন
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এবং আমাদের রক্তে সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপটি হল জীবনধারা পরিবর্তন করা। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে শারীরিক কাজ কর্মে অংশগ্রহণ করা । এবং একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কঠোরভাবে মেনে চলা। এটি সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর প্রথম পদক্ষেপ।
২। নিয়মিত ব্যায়াম
৩।অতিরিক্ত ওজন কমানো
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এবং সুগার কমানোর উপায় হিসেবে অতিরিক্ত ওজন কমানো জরুরী। আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে তাহলে এখনই ওজন কমানোর পদক্ষেপ নিন।একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করে। ওজন কমানো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৪। নিয়মিত হাঁটা
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার একটি সর্বোত্তম উপায় নিয়মিত হাঁটা। এটি আপনার ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে সাহায্য করা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর কারণ হল এটি আপনার রক্তে সুগারের পরিমান কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এটি এমন কার্যকলাপ যা আপনার হৃদস্পন্দন বাড়ায়, আপনাকে দ্রুত শ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং উষ্ণতা দেয়।
৫। কম শর্করা খাওয়া
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে আপনার শর্করা খাওয়া কমানো অপরিহার্য। কারণ আমাদের শরীর শর্করা কে চিনিতে রুপান্ততর করে, যা ইনসুলিন দ্বারা কোষে স্থানান্তরিত হয়। যখন আপনি প্রচুর পরিমাণে শর্করা খান বা আপনার ইনসুলিনের কার্যকারিতায় কোন সমস্যা হয়, তখন এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হয় এবং আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই শর্করা জাতীয় খাবার কম খান।
৬। বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়া
আমরা জানি ফল এবং সবজি খাওয়া আপনার জন্য ভালো। এটি শুধু ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করে না পাশাপাশি এটি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করার জন্য প্রতিদিন আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার পেতে সাহায্য করতে পারে।
আপনি হয়তো চিনিযুক্ত ফল সম্পর্কে ভাবছেন, এটি এড়িয়ে চলা উচিত কিনা? উত্তর হল না। পুরো ফল সবার জন্যই ভালো এবং যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে তবে এটি আলাদা নয়। ফলের মধ্যে চিনি থাকে, কিন্তু এটি প্রাকৃতিক চিনি। এটি চকোলেট, বিস্কুট এবং কেকের মতো জিনিসের মধ্যে যোগ করা চিনি থেকে আলাদা।
৭। প্রচুর পানি পান করা
আপনার রক্তে শর্করা স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখতে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। পানি কিডনির মাধম্যে রক্তের শর্করা বের করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে পানি পান করার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানে মনোযোগ দিন। এছাড়া কিডনি ভালো রাখার উপায় হিসেবে প্রচুর পানি পান করন।
আরও পড়ুনঃ
দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ আপনার স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটাতে পারে। এর কারণ হল যখন আপনি চাপে থাকেন তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বিষণ্নতা টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। এগুলো নিয়ন্ত্রনের রাখার নানা কৌশল সম্পর্কে জানুন। এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
৯। পর্যাপ্ত ঘুম
আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো গুরুত্বপূর্ণ ।কারন ঘুমের ঘাটতি বা সঠিক ঘুমের অভাব আমাদের ওজন বৃদ্ধি এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রনের সাহায্যকারী হরমোনকে ব্যাহত করে। তাই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
১০। সূর্যের আলো
ভিটামিন ডি একটি রক্তে শর্করার কমাতে পারে । একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি -এর নিম্ন মাত্রা উভয় ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উৎস সূর্যের আলো। তাই নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় সূর্যের আলোতে থাকুন যা আপনার ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করবে এবং আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর সাপ্লাই বাড়াবে।
আরও পড়ুনঃ
দারুচিনি এমন একটি উপাদান যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। কিন্তু আপনার খাবারে দারুচিনি অন্তর্ভুক্ত করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন । কারণ অতিরিক্ত দারুচিনির খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই কম পরিমানে দারুচিনি খান। আপনি আধা গ্লাস গরম পানিতে এক বা আধা চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। যা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে কার্যকারী।
১২। মেথি
মেথি খাওয়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে একটি পুরনো ঘরোয়া এবং সহজ প্রতিকার। যা অনেকে অনুসরণ করে থাকে। মেথিতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে ২ চামচ মেথি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খান। এছাড়া আপনি মেথির গুরা পানি বা দুধের সাথে গুলিয়ে খেতে পারেন।
১৩। কম লবণ খাওয়া
প্রচুর পরিমাণে লবণ খাওয়া আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এবং যখন আপনি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় খুজছেন তখন এই সমস্ত অবস্থার ঝুঁকি অনেক বেশি। যেহেতু আমাদের অনেক খাবারের মধ্যে লবণ থাকে তাই খাবারে কম লবণ খান। বর্তমানে চিকিৎসকরা খাবারে বাড়তি লবণ খেতে নিষেধ করেন।
১৪। কম চিনি খাওয়া
যখন আপনি রক্তে অতিরিক্ত সুগার কমানোর উপায় খুজছেন এবং ডায়াবেটিস কমানোর চেষ্টা করছেন তখন খাবারে চিনি খাওয়া কমিয়ে দিন। চিনি ছাড়া পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস বা চিনি ছাড়া চা- কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এই পদক্ষেপ গুলো আপনাকে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
১৫। বড় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি সহজ উপায় হল পরিমিত পরিমাণে খাওয়া। আপনার যা খেতে ইচ্ছে করে তা খাওয়ার চেয়ে বেশি বিপদজনক অতিরিক্ত খাওয়া। তাই খবারের জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার করেন। এবং প্রতিবার পরিমিত খাবার খান। সারাদিন আপনার শরীরকে ইচ্ছেমতো খাওয়ানোর অর্থ হচ্ছে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানো। তাই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে পরিমিত খান।
১৬। ধূমপান বন্ধ করা
একাধিক গবেষণা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ধূমপানকে পুরুষ এবং মহিলাদের ডায়াবেটিসের বিকাশ এবং অগ্রগতির কারন হিসেবে দায়ী করে।তাই আপনার এমন অভ্যাস থাকলে বা এমন পরিবেশে থাকলে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে তা ছাড়ার চেষ্টা করেন। এজন্য ধূমপান ছাড়ার অ্যাপগুলির সাহায্য নিতে পারেন।
১৭। ভেষজ খাবার
যদি আপনি খুজে থাকেন, কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না? তাহলে বলবো ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু ভেষজ খাবারের মধ্যে রয়েছে করলা, আমলকী, পেয়ারা, কালজাম, নিম পাতা, আম পাতা, সজনে পাতা, তুলসি পাতা, এবং অ্যালোভেরা । বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এই খাবার গুলোর যে উপাদান রয়েছে তা শরীরে ইন্সুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে এবং আপনার ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি শুধু এই খাবার গুলো খেয়ে ডায়াবেটিস কমাতে চান তাহলে ভুল ভাবছেন। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
১৮। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কখনই বন্ধ করা যাবে না। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ আপনাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।সুগারের মাত্রা জানা আপনার যথাযথ চিকিৎসা এবং আপনার খবারের পরিবর্তন করার জন্য জরুরী। তাই আপনি বাসায় সুগারের মাত্রা পর্যবেক্ষনের ব্যবস্থা রাখুন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
আরও পড়ুনঃ
সুস্থ জীবন যাপন করা সম্পূর্ণ আপনার নিয়ন্ত্রণে। আপনি যদি গুগল, ইউটিউব এবং ফেসবুকে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় খুজে থাকেন এরকম অসংখ্য আর্টিকেল পাবেন। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আপনি যদি সত্যি চেয়ে থাকেন ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে তাহলে নিজেকে পরিবর্তন করা শুরু করুন।
তবে আপনি সবগুলো ডায়াবেটিস কমানোর উপায় একবারেই পারবেন না। ধীরে ধীরে উপরের আলোচিত সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো রপ্ত করুন, স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পরিকল্পনা করুন, একটি সক্রিয় জীবনধারা বেছে নিন এবং আমরা নিশ্চিত আপনি চাইলেই পারবেন।নিজের জীবনের জন্য ডায়াবেটিস মুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করুন!
আমরা আশা করি ব্লাড সুগার কমানোর এই ঘরোয়া উপায় গুলি আপনাকে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
সতর্কতা - যারা খুব বেশি রক্তে শর্করার মাত্রায় ভুগছেন, তাদের জন্য ডায়েটিশিয়ান, ক্লিনিকাল পুষ্টিবিদ এবং তাদের পারিবারিক চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয় যাতে স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পাশাপাশি সর্বোত্তম চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়ে আসতে পারেন।
পোষ্ট টি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।