কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম। emergency pill

আজকে আমরা আপনাদের জানাবো, কোন ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) সবচেয়ে ভালো এবং ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম। এছাড়াও, ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়, ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয় এবং ইমারজেন্সি পিল খেলে কি মাসিক হয়? এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।


ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

সহবাসে বা যৌন মিলনে স্বামী-স্ত্রী চরম উত্তেজনার মুহূর্তে, পুরুষের বীর্য স্ত্রীর যোনিপথে চলে গেলে, স্ত্রীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাদেরও অনেক সময়ই ভুলবশত বা উত্তেজনায় অরক্ষিত সহবাস হয়ে যেতে পারে।

গর্ভধারণ রোধের কোন প্রটেকশন ছাড়াই পুরুষের বীর্য স্ত্রী যোনিতে গেলে, গর্ভধারণ রোধ করার জন্য ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অনেক নারীই অনিরাপদ যৌন মিলন করার পর, একটি ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে গর্ভধারণ থেকে নিরাপদ থাকেন।

তাই বলা যায়, ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বড় অর্জন। যা অনেক নারীকে অনিরাপদ গর্ভবতী হাওয়া থেকে নিরাপদ রাখেন। তবে, ইমার্জেন্সি পিল কোনটি ভালো তা জেনে এবং ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) খাওয়ার নিয়ম মেনে, ইমারজেন্সি পিল খাওয়া উচিত।

আজকে যা জানাবো

  • ইমার্জেন্সি পিল কি?
  • কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো?
  • ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
  • ইমার্জেন্সি পিল কতবার খাওয়া যায়?
  • ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়?
  • ইমার্জেন্সি পিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
  • ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
  • ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর সহবাস করলে কি আবার পিল খেতে হয়?

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) কি?

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) হলো জরুরী গর্ব নিরোধক একটি পিল। যা অনিরপদ যৌন মিলনের পর মহিলাদের খাওয়ার ট্যাবলেট। অরক্ষিত যৌন মিলনের পর, ইমারজেন্সি পিল খেলে, স্ত্রীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে, এই পিল প্রায় ৯৯% কার্যকর। ইমারজেন্সি পিল শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয়। কোনভাবেই এটি নিয়মিত খাওয়ার পিল নয়।

কোন ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) সবচেয়ে ভালো?

বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভালো মানের ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill পাওয়া যায়। অনেকেই জানতে চান, ইমারজেন্সি পিল কোনটা ভালো। তাদের জন্য বলবো, বাজারে পাওয়া যায় সরকার অনুমোদিত সব ইমার্জেন্সি পিল গুলো ভালো।

এগুলোর মধ্যে থেকে, আমরা নিচে কয়েকটি ভালো মানের ইমারজেন্সি পিলের নাম আপনাদের জানালাম।

১। 5X ইমার্জেন্সি পিল (5X emergency pill)

5X ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিল টি রেনেটা কোম্পানির একটি ভালো মানের ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill)। এই ইমারজেন্সি পিলটির বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ টাকা। এবং ওষুধটি দাবি করে থাকে, সহবাসের পর, পাঁচ দিনের মধ্যে এটি খেলে গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব।

২। পিউলি ইমার্জেন্সি পিল (peuli emergency pill)

আপনারা যারা জানতে চান, কোন ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) সবচেয়ে ভালো, তাদের জন্য পিউলি ইমার্জেন্সি পিল (peuli emergency pill) টি জিসকা ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের একটি ভালো মানের পিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৯৫ টাকা ।এই পিলটি অনিরাপদ সহবাসের পর, পাঁচ দিনের মধ্যে খেলে গর্ভধারণ রোধ করতে সক্ষম বলে দাবি করে থাকে।

পিউলি ইমার্জেন্সি পিল (peuli emergency pill)

৩। ইমকন ইমার্জেন্সি পিল (emcon emergency pill)

রেনেটা লিমিটেড আর একটি ভালো মানের ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) হচ্ছে ইমকন ইমারজেন্সি পিল (emcon emergency pill)। ইমকন ১ (emcon 1) ইমার্জেন্সি পিলটিতে একটি ট্যাবলেট থাকে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা। অনিরাপদ সহবাসের পর, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল টি খেলে গর্ভধারণ রোধ করে।

৪। নরপিল ইমার্জেন্সি পিল (norpill emergency pill)

কোন ইমারজেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো, এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে নরপিল ইমার্জেন্সি পিল (norpill emergency pill) একটি ভালো মানের পিল। স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড এর এই ইমার্জেন্সি পিলটির একটি ট্যাবলেট এর বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা। এই পিলটিও অনিরাপদ সহবাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভধারণ রোধ করে।

৫। আইপিল ইমার্জেন্সি পিল (i-pill emergency pill)

পপুলার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের একটি ভালো মানের ইমার্জেন্সি পিল হচ্ছে আইপিল ইমার্জেন্সি পিল (i-pill emergency pill)। যার একটি ট্যাবলেটের বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা। এই পিলটি অরক্ষিত সহবাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভধারণ রোধ করে।

৬। নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল (norix emergency pill)

সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (smc) একটি জনপ্রিয় ইমার্জেন্সি পিল হচ্ছে, নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল (norix emergency pill)। নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল ২ ট্যাবলেট এর দাম ৬০ টাকা। বর্তমানে নোরিক্স ১ (norix 1) ট্যাবলেট পাওয়া যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ টাকা।

এই পিলটিও অরক্ষিত সহবাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে গর্ভধারণ রোধ করে। ইমার্জেন্সি পিল কোনটা ভালো যারা জানতে চান, তাদের জন্য নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল (norix emergency pill) আরেকটি ভালো মানের পিল। তবে, অবশ্যই নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল (norix emergency pill) খাওয়ার নিয়ম মেনে খেতে হবে।

নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল (norix emergency pill)

আমরা এখানে শুধুমাত্র, কয়েকটি ইমার্জেন্সি পিল এর নাম উল্লেখ করেছি। এছাড়াও, বাজারে আরো ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির ভালো মানের ইমারজেন্সি বিল রয়েছে। এবং আমরা এখানে যে দাম উল্লেখ করেছি, সেটাও বিভিন্ন সময় কম-বেশি হতে পারে। তাই, ইমার্জেন্সি পিল কেনার আগে অবশ্যই দাম যাচাই করে কিনবেন।

ইমার্জেন্সি পিল কখনোই নিয়মিত খাওয়ার পিল নয়। এটা শুধুমাত্র জরুরী পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়। অরক্ষিত বা অনিরাপদ সহবাস এড়ানোর জন্য, পুরুষেরা ভালো মানের কনডম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া স্ত্রীরা নিয়মিত স্বল্পমাত্রার ভালো মানের পিল খেতে পারেন।

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) খাওয়ার নিয়ম জানা খুবই জরুরী। কারণ, অনেকেই না জেনে ভুল নিয়মে ইমার্জেন্সি পিল খান। যা খুবই ক্ষতিকর। অনিরাপদ সহবাসের পর, তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে, একটি ইমারজেন্সি পিল খেয়ে নিলে স্ত্রীর গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না।

ভালো মানের ইমার্জেন্সি পিল গুলো, নিরাপদ সহবাসের পর পাঁচ দিনের মধ্যে খাওয়ার দাবি করলেও, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া নিরাপদ। তবে, সবচেয়ে ভালো বা ৯৯% কার্যকর ফলাফল পেতে এবং গর্ভধারণ থেকে নিরাপদ থাকতে, সহবাসের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া উচিত।

আপনারা অনেকেই জানতে চান, ইমার্জেন্সি পিল কয়টা খেতে হয় এবং ইমারজেন্সি পিলে কয়টি ট্যাবলেট থাকে, বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু ইমারজেন্সি পিলে দুইটি ট্যাবলেট থাকে। তবে, বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানির ইমার্জেন্সি পিলে একটি ট্যাবলেট থাকে।

যে ইমার্জেন্সি পিলে দুইটি ট্যাবলেট থাকে, সেগুলো সহবাসের তিন দিনের মধ্যে প্রথমটি খেতে হয় এবং তার ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ট্যাবলেট টি খেতে হয়। বর্তমানে, অনেকেই দুইটি ট্যাবলেটের ঝামেলা এড়ানোর জন্য একটি ট্যাবলেট এর ইমার্জেন্সি পিল খান।

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) কতবার খাওয়া যায়?

অনেকেই জানতে চায়, ইমার্জেন্সি পিল সপ্তাহে বা মাসে কতবার খাওয়া যায় বা কতবার খাওয়া উচিত। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং সকলের এই বিষয়টা জানা উচিত। বিশেষ করে, যারা ইমার্জেন্সি পিল প্যারাসিটামল এর মতো খেতে থাকেন। ইমার্জেন্সি কথাটার অর্থ হচ্ছে জরুরী। শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই এই পিলটি খেতে পারবে।

সহবাসে কনডম ফেটে গেলে বা স্ত্রী স্বল্পমাত্রার পিল খেতে ভুলে গেলে কিংবা ধর্ষণের মত ঘটনার কারণে, যদি সহবাসে এক্সিডেন্টলি পুরুষের বীর্য স্ত্রীর যোনিতে ঢুকে যায় এবং সেই সময় কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রটেকশন না নেওয়া থাকে, সেসব ক্ষেত্রেই ইমারজেন্সি পিল খেতে হয়।

কিন্তু, অনেকেই এটাকে নিয়মিত খাবার পিল ভাবেন এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে অরক্ষিত সহবাস করে, একটি এমার্জেন্সি পিল খেয়ে নেন। কিন্তু, একটি মাসিক থেকে আরেকটি মাসিকের মধ্যে এক বারের বেশি ইমারজেন্সি পিল খাওয়া ক্ষতিকর। এতে মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক সহ নানা জটিল সমস্যা হতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল এর সাইড এফেক্ট বা ক্ষতি কর দিক থেকে নিরাপদ থাকার জন্য, কমপক্ষে তিন মাসের মধ্যে একটির বেশি ইমারজেন্সি পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সবচেয়ে ভালো যদি ছয় মাসের মধ্যে একটির বেশি না খেয়ে পারেন।

মনে রাখবেন, ইমার্জেন্সি পিল শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই খায়। এটি যদি নিয়মিত খাওয়ার পিল হতো, তাহলে সহবাসের আগেই খেয়ে সহবাস করা যেতো।

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) বেশি খেলে কি হয়?

ইমার্জেন্সি পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আমরা এইমাত্র জানলাম, ইমার্জেন্সি পিল কতবার খাওয়া উচিত। সেখানে আমরা উল্লেখ করেছি, তিন মাসের মধ্যে একটির বেশি ইমারজেন্সি পিল খাওয়া উচিত নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ যদি ইমার্জেন্সি পিল বেশি খায় তাহলে কি হয়? ইমারজেন্সি পিল বেশি খেলে যা হতে পারে, তা হলো মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত পরিমাণে মাসিকে রক্তপাত হওয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া, শরীরের হরমোনের পরিবর্তন, মাথাব্যথা এবং বমি হওয়া। 

এছাড়া, ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে, পিলের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। যার ফলে পিল খাওয়ার পরও গর্ভবতী হতে পারে। আবার, অনেকের অতিরিক্ত ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কারণে সন্তান ধারণে অক্ষম হতে পারে। আশা করি ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয় তার উত্তর পেয়েছেন।

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইমার্জেন্সি পিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট আমরা আগেও আগেই উল্লেখ করেছি। তারপরও, ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি ক্ষতি হয় তা সংক্ষেপে বলছি, অতিরিক্ত ইমারজেন্সি পিল খেলে মেয়েদের মাথা ব্যথা, বমি, অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া, পিরিয়ডের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া, এমার্জেন্সি পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং মেয়েদের গর্ভধারণের অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?

ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি মাসিক হয়

অনেকেই জানতে চান, ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়, ইমারজেন্সি পিল খেলে কি মাসিক হয় অথবা ইমারজেন্সি পিল খেলে কি মাসিক অনিয়মিত হয়, এটা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। মাসিক হওয়া বা না হওয়ার জন্য ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া হয় না।

তবে, ইমার্জেন্সি পিলে কিছু হরমোন থাকে। যা নারীদের শরীরে গিয়ে গর্ভধারণ রোধ করে। এর ফলে, মেয়েদের মাসিক ১৪ থেকে ১৫ দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা সময়ের আগে আগে হতে পারে। কিন্তু, যদি দীর্ঘদিন মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে বা পিরিয়ডে অতিরিক্ত বিল্ডিং সহ কোন জটিল সমস্যা হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ইমার্জেন্সি পিল (emergency pill) খাওয়ার পর সহবাস করলে কি আবার পিল খেতে হয় ?

ইমার্জেন্সি পিল, পুরুষের বীর্যে থাকা শুক্রাণু ও নারীদের জরায়ুতে থাকা ডিম্বাণুর মিলনে মাধ্যমে যে ডিমস্ফোটন হয় বা গর্ভধারণ হয় তা ৫ দিনের জন্য বিরত রাখে। কিন্তু, পুরুষের বীর্য থেকে শুক্রাণু পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এবং ইমার্জেন্সি পিল এই শুক্রাণু মারে না। শুধু ডিম্বানুর সাথে মিলে ডিম ফুটতে বাধা তৈরি করে।

তাই, কেউ যদি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর আবার অরক্ষিত সহবাস করেন, তাহলে ইমার্জেন্সি পিল এর কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর, জরায়ুতে বেঁচে থাকা শুক্রাণুর মাধ্যমে মেয়েরা গর্ভবতী হতে পারেন। তাই ইমার্জেন্সি পিল, অরক্ষিত সহবাসের পরে খেতে হয়। ইমারজেন্সি পিল খেয়ে অরক্ষিত সহবাস নিরাপদ নয়। তাতে গর্ভধারণ হতে পারে।

যদি, ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর নিরাপদ সহবাস করা যেতো, তাহলে আগেই ৫ দিনের জন্য একটি ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে, নিরাপদে সহবাস করা যেত। একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করছি, ধরুন আপনি ফুটবল খেলতে নামবেন। তাই, আগেই ব্যাথার ট্যাবলেট খেয়ে নিলেন, যদি ব্যথা পান এটা ভেবে। সেটা কি ঠিক? ব্যথা পাওয়ার পরে যেরকম ব্যথার ট্যাবলেট খেতে পারেন। ঠিক, ইমারজেন্সি পিলও অরক্ষিত সহবাসের পর জরুরি প্রয়োজন খেতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা

আজকে আমরা আপনাদেরকে জানালাম, কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো এবং ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম। এছাড়া জানালাম, ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়, ইমারজেন্সি পিল মাসে কতবার খাওয়া যায়, ইমার্জেন্সি পিল খেলে কি মাসিক হয়, ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়, ইমার্জেন্সি পিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর সহবাস করা যায় কিনা।

আশা করি, আর্টিকেলটির মাধ্যমে ইমার্জেন্সি পিল বিষয়ে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর জানাতে পেরেছি। তবে, আসল কথা হচ্ছে, ইমার্জেন্সি পিল যে কারণে ব্যবহার করা উচিত, শুধুমাত্র সেই কারণে ব্যবহার করবেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নিয়মিত ইমার্জেন্সি ব্যবহার করবেন না। স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ভালো মানের স্বল্পমাত্রার পিল খেতে পারেন। ইমারজেন্সি পিল বিষয়ে আপনাদের যদি আরো কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url