কিডনি ভালো রাখার ১২ টি কার্যকর উপায়
কিডনি ভালো রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আমরা সকলেই জানি কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি মূলত আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধন করে এবং আমাদের শরীরের বর্জ্য মূত্রের সাহায্যে শরীর থেকে বের করে দেয়। কিডনি যদি এই কাজ ঠিকমতো করতে না পারে তাহলে একজন মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরী।
আপনারা জানেন আমাদের শরীরের দুটি কিডনি রয়েছে। এর একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেলেও মানুষ বেঁচে থাকে। কিন্তু দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই দেখা যায় যাদের দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তারা কিডনি কিনতে চাই মর্মে বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তু এই 2021 ও 2022 সালে এসে কিডনি বিক্রি ও দাম একটি দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত কিডনির যত্ন নেওয়া।
আজকে যা জানবো
- কিডনি ভালো রাখার ১২ টি কার্যকর উপায়
- কিডনি ভালো রাখার জন্য খাবার তালিকা
- কিডনি রোগীর যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়
- কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম
- কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট
- কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
- কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
কিডনি ভালো রাখার কার্যকর উপায়
কিডনি আমাদের শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে আমাদেরকে কর্মক্ষম ও সুস্থ রাখে। কিডনি ভালো রাখার জন্য নিচের কাজগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত।
১। প্রতিদিন পরিমিত পানি পান করা
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। কারণ পানি পান করলে কিডনি ভালো থাকে। কিডনি যেহেতু প্রসাবের সাথে শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দেয়, তাই শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে এবং দূষিত পদার্থ বের করতে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। যারা কম পানি পান করেন তাদের কিডনি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা যায়, ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। কিডনি ড্যামেজ মানুষের মধ্যে ৩০ শতাংশই ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যায়। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কারণ অতিমাত্রায় ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কিডনি ফেইলওর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।৩। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অনেক মানুষ আছে, যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে। হাই ব্লাড প্রেসার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি রোগ। যাদের রক্তচাপ ৯০ থেকে ১৪০ এর উপরে থাকে তাদের কিডনি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই অবশ্যই আপনাদের কারো হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৪। ঔষধ খাওয়ায় সতর্ক হোন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে ব্যথা কমানোর ঔষধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা কমানোর ঔষধ খেলে, কিডনির রোগ হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না। বিশেষ করে কোন ব্যথানাশক ঔষধ।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
মাত্রাতিরিক্ত ওজন কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ অতিরিক্ত ওজন কিডনির কাজ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কিডনি ফেইলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।তাই অতিরিক্ত ওজন কমানোর কার্যকর উপায়গুলো জেনে আজই ওজন কমানো শুরু করুন।
৬। ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ পরিহার করুন
ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ করা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। ধূমপান ও মদ্যপানের ফলে কিডনিতে স্বাভাবিকের চেয়ে রক্ত চলাচল কমে যায়। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন মদ্যপান করেন বা মাদক সেবন করেন তাদের কিডনি সমস্যা তৈরি হয়। তাই এ ধরনের অভ্যাস পরিহার করা উচিত।
৭। অতিরিক্ত লবন খাওয়া বন্ধ করুন
অনেকেই খাবারে অতিরিক্ত লবণ খায় বা কাঁচা লবণ খেয়ে থাকেন। খাবারের সাথে আলাদাভাবে কাঁচা লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত লবন খাওয়া পরিহার করুন।
৮। অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করা বন্ধ করুন
অনেকেই পানির পিপাসায় এনার্জি ড্রিংক বা কোমল পানীয় পান করি। এসব কোমল পানীয়তে ক্ষতিকর মাত্রায় এলকোহল থাকে এবং এগুলো কিডনি সমস্যা তৈর করে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় এনার্জি ড্রিংকস বা কোমল পানীয় পান করা পরিহার করুন।
৯। নিয়মিত ব্যায়াম করুন
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম আমাদের নানা রোগ থেকে রক্ষা করে। কিডনি ভালো রাখার জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো আমাদের নিয়মিত করা উচিত। কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম গুলো কি কি সেগুলো নিচে দিয়ে দিচ্ছি আপনারা পড়ে নিবেন। এছাড়া মানসিক চাপ ও দুশিন্তা মুক্ত থাকুন।
১০। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। এরমধ্যে ফলমূল শাকসবজি ও ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত। কারণ এগুলো একজন মানুষের ওজন,রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও কিডনি ভালো রাখার জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত তার একটি তালিকা নিচে দিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া কিডনি ভালো রাখার উপায় হিসেবে কিডনি রোগের ঘরোয়া ভেষজ খাবার খেতে পারেন।
১১। সক্রিয় থাকুন বা কাজের মধ্যে থাকুন
ছোট ছোট কাজ, খেলাধুলা, হাঁটাচলা ও ছোট ছোট এক্সারসাইজ এগুলো আপনাকে মানসিকভাবে টেনশন ফ্রি রাখবে এবং এগুলো হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখবে। তাই সকল সময়ে কাজের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।
১২। নিয়মিত কিডনি টেস্ট করা
যারা বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন যেমন উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনির পাথর ,পরিবারের কারো কিডনি রোগ রয়েছে এমনকি যাদের বার্ধক্য সমস্যা রয়েছে তাদের বছরে কমপক্ষে ২ বার কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। যাদের এই সমস্যা নেই তারাও কিডনি সুস্থ রাখার উপায় হিসেবে বছরে একবার কিডনি চেক করতে পারেন।
কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যা প্রথমদিকে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যখন কিডনি ইনফেকশন এর মাত্রা বেড়ে যায় তখন লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। কিডনি চেক করার জন্য কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট, কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো ও কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় এ বিষয়গুলো নিচে সংক্ষেপে আপনাদের সাথে তুলে ধরছি।
কিডনি ভালো রাখার জন্য কিছু খাবার
কিডনি রোগীর অবশ্যই কিছু খাবার তালিকা মেনে চলা উচিত। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো কিডনির জন্য ভালো। এই খাবারগুলো যাদের কিডনি সমস্যার রয়েছে তাদের কিডনির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। খাবারগুলো হলোঃ
রসুন, পিয়াজ, আপেল, ডিমের সাদা অংশ, মাছ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেরি, লাল আঙ্গুর, অলিভ অয়েল, লাল ক্যাপসিকাম, লেবুর রস, আনারস, দারুচিনি, পালং শাক ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমুল।
কিডনি রোগীর যে খাবারগুলো একদম খাওয়া উচিত নয়
কিডনি রোগীর যে খাবারগুলো একদম খাওয়া উচিত নয় সেগুলো হলোঃগরুর মাংস,শুকরের মাংস, মিষ্টি জাতীয় খাবার, কোলড্রিংস, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত প্রোটিন যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার, ধূমপান বা মদ্যপান ও অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ। এই খাবারগুলো কিডনি রোগীর পরিহার করা উচিত।
কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম
কিডনি ভালো রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে কিডনি ভালো রাখা সহ শরীরের নানা উপকার করে থাকে। কিডনি সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে।এগুলোর মধ্যে প্রতিদিন হাঁটা, সাইকেল চালানো ও ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করা যায়। এছাড়া কিডনির মুদ্রা ও বজ্রাসন ব্যায়াম কিডনির জন্য খুবই উপকারী।ব্যায়াম গুলো নিচের ভিডিওতে দেখে নিন।
কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় হিসেবে ডাক্তাররা আপনার কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো শুনে, কিডনি টেস্ট লিস্ট দিবেন। অনেকগুলো টেস্ট এর মধ্যে কমন দুটি টেস্ট রয়েছে এগুলো প্রাথমিক অবস্থায় দেওয়া হয়। কিন্তু আপনার কিডনি সমস্যার মাত্রা বুঝে আরো কিছু টেস্ট দিতে পারেন।প্রাথমিক অবস্থায় কিডনির কার্যকারিতা বোঝার জন্য রক্তে ইউরিয়া ও সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট দিতে পারে। এগুলোর মাত্রা কিডনি ড্যামেজের ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। এই টেস্ট দুটো ব্লাডের মাধ্যমে করা হয়।
তবে কিডনি কত বেশি আক্রান্ত তা সবচেয়ে ভালো বোঝার জন্য দেওয়া হয় জিএফআর (গ্লোমেরুলার ফিল্টট্রেশন রেট) ও সিসিআর (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স রেট) টেস্ট।
কিডনির জন্য আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা কিডনির পাথর, কিডনির টিউমার, কিডনির আকার সহ আনন্য সমস্যা বোঝার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাও করা হয়।
এছাড়াও কিডনি সমস্যায় শরীরের অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জটিলতার পরীক্ষা দেয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে রক্তের হিমোগ্লোবিন, ফসফেট, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা। এছাড়া কিডনির সমস্যায় রক্তের শর্করা, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ সহ অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
সাধারণত আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যারা কিডনি সমস্যার জন্য ডাক্তারের দেয়া টেস্টগুলোর মধ্যে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট থেকে বুঝতে চান কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো। কিন্তু প্রথমেই বলে রাখি শুধুমাত্র ক্রিয়েটিনিন টেস্ট দিয়ে কিডনি ভালো আছে কিনা আপনি বুঝতে যাবেন না। বিভিন্ন কারণে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট এর মাত্রা কম বা বেশি আসতে পারে।তাই পরামর্শ দেয়া হয়, আপনারা অন্তত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুইটি ল্যাবরেটরীতে থেকে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করাবেন। সাধারণত ক্রিয়েটিনিনের সর্বোচ্চ সীমা ১.২ পর্যন্ত নরমাল ধরা হয়। কিন্তু বিভিন্ন ল্যাবরেটরীতে ১.৩ থেকে ১.৫ পর্যন্তও নরমাল রেফারেন্স দেওয়া থাকে।
শুধু ক্রিয়েটিনিন টেস্ট দিয়েই কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় না খুঁজে, সবথেকে ভালো হবে, আপনারা আপনাদের ডাক্তারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় টেস্ট শেষে জেনে নিবেন, আপনাদের কিডনিতে কোন সমস্যা আছে কিনা। কারণ ক্রিয়েটিনিন টেস্ট ছাড়াও কিডনি এর আরো প্রয়োজনীয় টেস্ট রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনার ডাক্তার বুঝতে পারবে কিডনিতে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়?
সাধারণত ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা ১.২ বা সর্বোচ্চ ১.৫ এর উপরে গেলে কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হতে পারে আবার নাও হতে পারে। ডায়ালাইসিস সম্পূর্ণ আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডায়ালাইসিস করা উচিত নয়। কারণ আগেই বলেছি ক্রিয়েটিনিন টেস্ট ছাড়াও আরো অনেকগুলো টেস্ট রয়েছে যেগুলোর উপর আপনার কিডনির বর্তমান কার্যকারিতা কতটুকু রয়েছে সেটা নির্ভর করে। তাই সকল প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো শেষে আপনার ডাক্তারের পরামর্শে ডায়ালাইসিস করতে পারেন।
আপনি হয়তো ডায়ালাইসিস বিষয়ে google বা youtuve সার্চ করে অনেক তথ্য পাবেন। কিন্তু আবারও বলছি আপনাদের যদি কারো মেডিকেল এমারজেন্সি থাকলে অবশ্যই কিডনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়ালাইসিস করাবেন।
আমাদের শেষ কথা
এছাড়া্রা আমাদের আগের আর্টিকেল তুলে ধরেছি, কিডনি কি কাজ করে, কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ ও কিডনি রোগের কারণ।আশা করি কিডনি সমস্যা সম্পর্কিত তথ্যগুলো আপনাদের কাজে আসবে। এছাড়াও কিডনির সমস্যা নিয়ে আরও কিছু জানতে চাইলে আমাকে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ রইল।
পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানান আমাদের কমেন্ট সেকশনে। এবং অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধুদেরে সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।ধন্যবাদ।